Header Ads

কৈশোরে থাইরয়েড হরমোনের অভাব কেন হয় | ডা আবিদা সুলতানা | Why does thyroid hormone deficiency occur in adolescence | Dr. Abida Sultana

কৈশোরে থাইরয়েড হরমোনের অভাব কেন হয়, ডা আবিদা সুলতানা, Why does thyroid hormone deficiency occur in adolescence, Dr. Abida Sultana

জন্মগত থাইরয়েড সমস্যা এবং প্রাপ্তবয়স্কদের থাইরয়েড সমস্যা নিয়ে সচেতনতা থাকলেও, কৈশোরে থাইরয়েড হরমোনের অভাব (জুভেনাইল হাইপোথাইরয়েডিজম) তুলনামূলক কম আলোচিত। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলেও অনেক ক্ষেত্রেই তা দৃষ্টির আড়ালে থেকে যায়।

থাইরয়েড হরমোনের অভাব বা আধিক্যের সমস্যা যেকোনো বয়সে শুরু হতে পারে, তবে হাইপোথাইরয়েডিজমই (হরমোনের স্বল্পতা) বেশি দেখা যায়। বয়সভেদে এই অভাব বিভিন্ন উপসর্গ বা জটিলতা সৃষ্টি করে।

হাইপোথাইরয়েডিজমের কারণ

কৈশোরে দেখা দেওয়া হাইপোথাইরয়েডিজম অনেক সময় জন্মগতই কিন্তু দেরিতে প্রকাশ পায়, যাকে লেট অনসেট কনজেনিটাল হাইপোথাইরয়েডিজম বলে। আবার নতুনভাবে কৈশোরেই সমস্যাটি শুরু হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অটোইমিউন থাইরয়েডাইটিস এই সমস্যার প্রধান কারণ। এর পেছনে জেনেটিক এবং পরিবেশগত প্রভাব কাজ করে।

অন্য কিছু কারণ

আয়োডিনের অভাব

কিছু খাবারের প্রভাব

অন্যান্য অসুখ বা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

রেডিয়েশন থেরাপি

থাইরয়েড গ্রন্থি অপসারণ 

হাইপোথাইরয়েডিজমের লক্ষণ

কৈশোরে থাইরয়েড হরমোনের অভাবে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন লক্ষণ, যেমন:

উচ্চতা বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত বা বিলম্বিত হওয়া

ওজন বেড়ে যাওয়া

কোষ্ঠকাঠিন্য

চোখ-মুখ ফুলে যাওয়া বা ত্বকের শুষ্কতা

দুর্বলতা, ক্লান্তি, এবং বেশি ঘুমানো

মনোযোগ এবং উদ্যমের অভাব

যৌবনপ্রাপ্তি বিলম্বিত হওয়া বা আগেভাগে হয়ে যাওয়া

গলগণ্ডের উদ্ভব 

কিছু ক্ষেত্রে মাথাব্যথা বা দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার মতো লক্ষণও দেখা দিতে পারে। তবে শিশুদের স্কুলের ফলাফলে এই সমস্যার সাধারণত তেমন প্রভাব পড়ে না।

ডা. আবিদা সুলতানার নতুন বই 'সফলতার সূত্র' রকমারি থেকে অর্ডার করতে ক্লিক করুন

হাইপোথাইরয়েডিজমের চিকিৎসা

হাইপোথাইরয়েডিজমের সমস্যা দেখা দিলে রোগনির্ণয়ের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা জরুরি।

সাবক্লিনিক্যাল হাইপোথাইরয়েডিজম

হাইপোথাইরয়েডিজমের রিপোর্ট বর্ডারলাইনে থাকে কোনো কোনো ক্ষেত্রে। একে বলে সাবক্লিনিক্যাল হাইপোথাইরয়েডিজম। এ সময়ে রোগীকে ওষুধ দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ করা হয়। রোগীর যদি উপসর্গ থাকে বা অটোইমিউন অ্যান্টিবডি মেলে, তখন চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। উপসর্গ না থাকলে তিন মাস পর পুনরায় পরীক্ষা করা হয়। রোগের অবস্থা বিবেচনা করে বাইরে থেকে হরমোন ওষুধ সরবরাহ করা হয়। দীর্ঘমেয়াদি হরমোনের অভাব থাকলে ওষুধের ডোজ ধীরে ধীরে বাড়ানো হয়, যাতে কোনো জটিলতা না হয়।

যথাযথ চিকিৎসা শুরু করলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগী সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে। তবে আনুষঙ্গিক জটিলতা থাকলে চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে।

সমস্যাটি যত তাড়াতাড়ি শনাক্ত ও চিকিৎসা করা যায়, ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি। তাই লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

জন্মগত থাইরয়েড সমস্যা এবং প্রাপ্তবয়স্কদের থাইরয়েড সমস্যা নিয়ে সচেতনতা থাকলেও, কৈশোরে থাইরয়েড হরমোনের অভাব (জুভেনাইল হাইপোথাইরয়েডিজম) তুলনামূলক কম আলোচিত। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলেও অনেক ক্ষেত্রেই তা দৃষ্টির আড়ালে থেকে যায়।

থাইরয়েড হরমোনের অভাব বা আধিক্যের সমস্যা যেকোনো বয়সে শুরু হতে পারে, তবে হাইপোথাইরয়েডিজমই (হরমোনের স্বল্পতা) বেশি দেখা যায়। বয়সভেদে এই অভাব বিভিন্ন উপসর্গ বা জটিলতা সৃষ্টি করে।

হাইপোথাইরয়েডিজমের কারণ

কৈশোরে দেখা দেওয়া হাইপোথাইরয়েডিজম অনেক সময় জন্মগতই কিন্তু দেরিতে প্রকাশ পায়, যাকে লেট অনসেট কনজেনিটাল হাইপোথাইরয়েডিজম বলে। আবার নতুনভাবে কৈশোরেই সমস্যাটি শুরু হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অটোইমিউন থাইরয়েডাইটিস এই সমস্যার প্রধান কারণ। এর পেছনে জেনেটিক এবং পরিবেশগত প্রভাব কাজ করে।

অন্য কিছু কারণ

আয়োডিনের অভাব

কিছু খাবারের প্রভাব

অন্যান্য অসুখ বা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

রেডিয়েশন থেরাপি

থাইরয়েড গ্রন্থি অপসারণ

হাইপোথাইরয়েডিজমের লক্ষণ

কৈশোরে থাইরয়েড হরমোনের অভাবে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন লক্ষণ, যেমন:

উচ্চতা বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত বা বিলম্বিত হওয়া

ওজন বেড়ে যাওয়া

কোষ্ঠকাঠিন্য

চোখ-মুখ ফুলে যাওয়া বা ত্বকের শুষ্কতা

দুর্বলতা, ক্লান্তি, এবং বেশি ঘুমানো

মনোযোগ এবং উদ্যমের অভাব

যৌবনপ্রাপ্তি বিলম্বিত হওয়া বা আগেভাগে হয়ে যাওয়া

গলগণ্ডের উদ্ভব

কিছু ক্ষেত্রে মাথাব্যথা বা দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার মতো লক্ষণও দেখা দিতে পারে। তবে শিশুদের স্কুলের ফলাফলে এই সমস্যার সাধারণত তেমন প্রভাব পড়ে না।

হাইপোথাইরয়েডিজমের চিকিৎসা

হাইপোথাইরয়েডিজমের সমস্যা দেখা দিলে রোগনির্ণয়ের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা জরুরি।

সাবক্লিনিক্যাল হাইপোথাইরয়েডিজম

হাইপোথাইরয়েডিজমের রিপোর্ট বর্ডারলাইনে থাকে কোনো কোনো ক্ষেত্রে। একে বলে সাবক্লিনিক্যাল হাইপোথাইরয়েডিজম। এ সময়ে রোগীকে ওষুধ দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ করা হয়। রোগীর যদি উপসর্গ থাকে বা অটোইমিউন অ্যান্টিবডি মেলে, তখন চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। উপসর্গ না থাকলে তিন মাস পর পুনরায় পরীক্ষা করা হয়। রোগের অবস্থা বিবেচনা করে বাইরে থেকে হরমোন ওষুধ সরবরাহ করা হয়। দীর্ঘমেয়াদি হরমোনের অভাব থাকলে ওষুধের ডোজ ধীরে ধীরে বাড়ানো হয়, যাতে কোনো জটিলতা না হয়।

যথাযথ চিকিৎসা শুরু করলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগী সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে। তবে আনুষঙ্গিক জটিলতা থাকলে চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে।

সমস্যাটি যত তাড়াতাড়ি শনাক্ত ও চিকিৎসা করা যায়, ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি। তাই লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।



কৈশোরে থাইরয়েড হরমোনের অভাব কেন হয় | ডা আবিদা সুলতানা

Why does thyroid hormone deficiency occur in adolescence | Dr. Abida Sultana



ডা আবিদা সুলতানা, Dr Abida Sultana, health, fitness, healthy life, সফলতার সূত্র, আসুন সুস্থ থাকি, মানসিক স্বাস্থ্য, asun sustho thaki, mental health

ডা. আবিদা সুলতানা, (এমবিবিএস)
জেনারেল প্রাকটিসার, সিটি হেলথ সার্ভিসেস লিঃ এন্ড সিটি হাসপাতাল লিঃ
মেডিসিন, চর্মরোগ, বাত-ব্যাথা, শিশু ও গাইনী রোগ বিশেষজ্ঞ।
লেকচারার, জেড এইচ সিকদার মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল, ঢাকা।


Follow Me -

Facebook : Dr. Abida Sultana 

Youtube : Dr. Abida Sultana 

X : Dr. Abida Sultana 

tiktik : Dr. Abida Sultana 

No comments

Powered by Blogger.