কর্মক্ষেত্রে জড়তা কাটানোর ৫ উপায় | ডা আবিদা সুলতানা
গবেষণায় দেখা গেছে, কর্মক্ষেত্রে বন্ধু থাকলে কর্মীরা তাদের কাজে সাতগুণ বেশি মনোযোগী হয়ে থাকেন। কর্মক্ষেত্রের বন্ধুকে বেস্ট ফ্রেন্ড বা সেরা বন্ধু হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। কর্মক্ষেত্রে যাদের একজন মোটামুটি ঘনিষ্ঠ বন্ধু থাকে তারাও কর্মক্ষেত্রে অনেক বেশি সন্তুষ্ট থাকেন এবং তাদের কাজের উৎপাদনশীলতাও বাড়ছে। আপনার জন্য কয়েকটি পরামর্শ :
১. জড়ো হওয়ার স্থানটি খুঁজে বের করুন
প্রতিটি কর্মস্থলেই একটি জায়গা থাকে যেখানে কর্মীরা জড়ো হয়ে আড্ডা দেন ও গল্প গুজব করেন। হতে পারে তা কফি ভেন্ডিং মেশিন বা ওয়াটার কুলারের পাশের খালি জায়গাটুকু! যে সহকর্মীদের সঙ্গে জড়তা কাটিয়ে আপনি ঘনিষ্ঠ হতে চান তারা কখন সেখানটায় যান তা খেয়াল করুন। আর আপনিও ঠিক একই সময় সেখানটায় হাজির থাকার চেষ্টা করুন। যাতে তাদের সঙ্গে কথা বলার একটা সুযোগ মিলে যায়।
২. জলখাবারের প্রস্তাব দিন
সহকর্মীদের হৃদয়ে প্রবেশ করতে হলে তাদের পেটের মধ্য দিয়েই করতে হয়। সহকর্মীদের পছন্দের খাদ্যাভ্যাসের দিকে লক্ষ রাখুন এবং সে অনুযায়ী তাদেরকে জলখাবারের প্রস্তাব দিন যা তারা পছন্দ করবে। এর মধ্য দিয়ে সহকর্মীদের পরস্পরের প্রতি আস্থা তৈরি হয়।
৩. ইতিবাচক হোন
কর্মস্থলে যিনি সব সময়ই গম্ভীর, বিরক্তিকর বা কাজের চাপের আতঙ্কে থাকেন তাকে কেউই পছন্দ করেন না। সুতরাং সহকর্মীদের সঙ্গে যখনই সম্ভব তখনই আনন্দ ভাগাভাগি করুন এবং হাসিখুশি ভাব বজায় রেখে যোগাযোগ গড়ে তুলুন। তাদের যদি দেখতে সুন্দর লাগে বা কোনো কাজ সুন্দর করে সম্পন্ন করেন তাহলে তাদের প্রশংসা করুন। তবে ছলনা করতে যাবেন না যেন।
৪. পরচর্চা এড়িয়ে চলুন
যারা শুধু পরচর্চা এবং অফিস রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করবেন না। পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া এবং কথোপকথন পরিষ্কার রাখুন তাহলে দেখবেন সঠিক বন্ধুটি পেয়ে গেছেন। কর্মস্থল সম্পর্কে ভালো কিছু বলা এবং সুনাম ছড়ানোর প্রতি মনোযোগ দিন।
৫. একসঙ্গে বাইরে খাবার খেতে যান
কর্মস্থলের পাশের নতুন কোনো রেস্টুরেন্টে একসঙ্গে খাবার খেতে যাওয়ার প্রস্তাব সব সময়ই বিস্ময়কর ফল দেয়। আপনি নিজে চেনেন এমন কোনো রেস্টুরেন্টে গেলে চমৎকার হয়। আর সহকর্মীদের কাছ থেকেও পরামর্শ নিতে পারেন। বাইরে খাবার খেতে গিয়ে সহকর্মীদের আপনাকে বুঝার সুযোগ করে দিন আর আপনিও তাদের বুঝার চেষ্টা করুন।
৬. আপনি যদি অন্তর্মুখী স্বভাবের হন
আপনি যদি নতুন কারে সঙ্গে সরাসরি কথা বলা শুরু করতে লজ্জা পান তাহলে ই-মেইল বা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে যোগাযোগ করে সহকর্মীদের সঙ্গে জড়তা কাটানোর চেষ্টা করুন। এতে লোকের সঙ্গে কথা বলা আরো সহজ হয়ে আসবে।
কর্মক্ষেত্রের ইভেন্ট এবং আড্ডাগুলোতে নিয়মিত যোগ দিন। এতে অফিসের বাইরেও লোককে পর্যবেক্ষণের সুযোগ পাবেন এবং কার সঙ্গে আপনি বন্ধুত্ব করলে স্বস্তি বোধ করবেন তাকে খুঁজে পাবেন।
প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ভয়কে জয় করুন। এই বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকুন যে, কেউ আপনাকে পছন্দ করবেন তো কেউ অপছন্দ করবেন। আবার অনেকেই হয়তো নির্বিকার থাকবেন।
ডা. আবিদা সুলতানা এখন নিয়মিত রোগী দেখছেন সিটি হেলথ সার্ভিসেস লিঃ এন্ড সিটি হাসপাতালে।
প্রতি শনি থেকে বৃহস্পতিবার, বিকাল ৫ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত। ঠিকানা - ৭৭২/১-এ, বসিলা রোড, ময়ূরভিলা সংলগ্ন, মোহাম্মদপুর বাসস্টান্ড, ঢাকা। সিরিয়ালের জন্য কল করুন : ০১৭৪৫৬৭৬৯২৯
৭. আপনি যদি বহির্মুখী স্বভাবের লোক হন
একটি বিষয়ে সতর্ক থাকুন যে, অতি উদ্দীপনা দেখিয়ে আবার আপনি আপনার সহকর্মীদের ভড়কে দিচ্ছেন কি না।
কাউকে আপনার সঙ্গে সময় কাটানোর প্রস্তাব দেওয়ার পর 'রাতে বাসায় থাকতে হবে' এমন অজুহাতে এড়িয়ে গেলে মর্মাহত হবেন না।
Follow Me -
Facebook : Dr. Abida Sultana
Youtube : Dr. Abida Sultana
tiktik : Dr. Abida Sultana
No comments