যে ডায়েটে হার্ট ভালো থাকবে, কমবে স্ট্রোকের ঝুঁকি || A diet that is good for the heart will reduce the risk of stroke || Dr. Abida Sultana
বর্তমান লাইফস্টাইলের প্রকোপে বাড়ছে হার্টের সমস্যা। সঠিক ডায়েট ও লাইফস্টাইলের একমাত্র সমাধান। হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে কেমন ডায়েট মেনে চলবেন? জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ ডায়েটিশিয়ানরা।
যত দিন যাচ্ছে, আমরা উন্নত থেকে উন্নততর সমাজে পা রাখছি। সেইসঙ্গে ততই বাড়ছে বিভিন্ন রোগব্যাধির প্রকোপ। হৃদযন্ত্রের সমস্যাও এখন জ্বরের মতো প্রত্যেক বাড়িতে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই বংশগত কারণে হার্টের সমস্যা দেখা দিলেও সঠিক চিকিৎসা ও লাইফস্টাইল পরিবর্তনের মাধ্যমে তা প্রতিরোধযোগ্য।
হার্টের সমস্যার মূলে রয়েছে ধূমপান, অতিরিক্ত স্ট্রেস ও শরীরচর্চার অভাব ইত্যাদি নানাবিধ কারণ। এই কারণগুলো বাদ দিলেও প্রধান যে ফ্যাক্টরটি কাজ করে তা হলো ডায়েট। অতিরিক্ত ফ্যাটজাতীয় খাবার খেলে ধমনির গায়ে সেই ফ্যাট জমতে শুরু করে। ফলে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। আবার অনেকক্ষেত্রে ধমনিতে রক্ত জমাট বেঁধে সৃষ্টি করে হার্ট অ্যাটাকের।
আর এই ধরনের বস্নাড ভেসেল যদি মস্তিষ্কে যায়, তাহলেই দেখা দেয় স্ট্রোক। তাই আপনি কী ধরনের খাবার খাচ্ছেন এর ওপরও আপনার হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য অনেকাংশে নির্ভরশীল। এমনকি যদি আপনার আগে থেকেও হার্টের সমস্যা থেকে থাকে, সেক্ষেত্রেও সঠিক ডায়েট মেনে চললে উপকার পাবেন। সঠিক খাবার আপনার ধমনি পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে ও কোলেস্টেরল জমতে বাধা দেয়। ফলে রক্ত তরল ও জমাট বাঁধে না এবং হার্টও ভালো থাকে।
মাইগ্রেনের ব্যথা এবং প্রতিকার
কী খাবেন ?
১. হোলগ্রেন সিরিয়াল যেমন গম, ব্রাউন রাইস, জোয়ার, বাজরা ইত্যাদি বেশি করে খান।
২. প্রতিদিন একগস্নাস করে টাটকা সবজির রস খেতে পারেন। সেটা পুদিনার রসও হতে পারে আবার হুইট গস্নাস জুসও হতে পারে। সবুজ সবজির রস যকৃতের জন্য ভালো। আর যকৃতই ফ্যাট হজম করতে সাহায্য করে। তাই যকৃৎ ভালো থাকলে ফ্যাট হজমও ভালো হয়। এছাড়া সবুজ সবজির রস অ্যানিমিয়া, শরীর কিংবা মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে এবং রক্ত বিশুদ্ধ ও তরল রাখতে সাহায্য করে। ফলে স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।
৩. খেয়াল রাখুন আপনার দৈনন্দিন ডায়েটের অন্তত ২৫ শতাংশ যেন সবজি হয় (আলু বাদে)। সবজিতে প্রচুর ফাইবার থাকে- যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
৪. দিনে অন্তত ২-৩ রকমের ফল খান।
৫. প্রতিদিন ২ কোয়া রসুনকুচি খেতে পারেন। রসুন ভ্যাসোডায়ালেটর, অর্থাৎ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। রসুনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্যানসার প্রতিরোধ করতে এবং রক্ত তরল রাখতেও সাহায্য করে।
৬. সব ধরনের ভাজাপোড়া, ময়দাযুক্ত খাবার ও মিষ্টি এড়িয়ে চলুন। কারণ এই জাতীয় খাবারই পরবর্তী সময়ে ফ্যাটে রূপান্তরিত হয়।
৭. যদি আপনি হার্টের সমস্যায় ভুক্তভোগী হন, সেক্ষেত্রে ডায়েটে বেশি করে কাঁচা পেঁয়াজ, আদা, কালো মাশরুম, রসুন এবং গ্রিন টি খাবেন। এগুলো রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। আপনার রক্ত জমাট বাঁধছে কিনা এবং বাঁধলেও কীভাবে বাঁধছে, তার ওপরই আপনার হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা নির্ভর করছে।
৮. আপনার করোনারি হার্ট ডিজিজ থাকলে প্রতিদিন একবাটি করে সেদ্ধ কালো বা সবুজ ছোলা খান। সামান্য অলিভ অয়েল এবং পেঁয়াজ মিশিয়ে স্যালাদ বানিয়েও খেতে পারেন। এতেও কোলেস্টেরল কমবে।
৯. ভিটামিন 'ই' এলডিএল কোলেস্টেরলের জারণে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে প্রতিদিন ২০০-৪০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন 'ই' সাপিস্নমেন্ট নিতে পারেন।
১০. প্রতিদিন ৩০-৪০ মিনিট জোর পায়ে হাঁটুন। এতে বস্নাড সুগার, ট্রাইগিস্নসারাইড এবং কোলেস্টেরল সবই নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
No comments