Header Ads

বন্যায় স্বাস্থ্য সমস্যা : করনীয় | ডা. আবিদা সুলতানা | Health problems in floods : Actionable | Dr. Abida Sultana

বন্যায় স্বাস্থ্য সমস্যা : করনীয়, ডা. আবিদা সুলতানা, Health problems in floods: Actionable, Dr. Abida Sultana,

বন্যা নিয়ে অনেক উপকথা রচিত হলেও বন্যা প্রকৃতপক্ষে প্রাকৃতিক একটি বিপর্যয়। বন্যার দূষিত পানি মানুষের জীবনযাত্রাকে বিপন্ন করে তোলে। বন্যায় সংক্রমণ ব্যাধির বিস্তার বেড়ে যায়। প্রাপ্তবয়স্কদের চেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় অল্প বয়সীরা। বিশুদ্ধ পানির অভাবে দেখা দেয় নানা সমস্যা

ডায়রিয়া, কলেরা, রক্ত আমাশয়, টাইফয়েড, প্যারাটাইফয়েড, ভাইরাল হোপাটাইটিস, পেটের পীড়া,কৃমির সংক্রমণ, চর্মরোগ, চোখের অসুখ প্রভৃতি সমস্যা মহামারী হয়ে ছড়িয়ে পড়ে।  এসব সমস্যা থেকে রেহাই পেতে করনীয় কি? যেহেতু বন্যার পানির উৎস সংক্রমিত হয়ে যায়। সুতরাং পানি ভালোমতো ফুটিয়ে পান করতে হবে। টিউবওয়েলের পানি কিছুক্ষণ চেলে ফেলানোর পর সংগ্রহ করতে হবে। তবে টিউবওয়েলের পানি ফুটিয়ে নেওয়াটা নিরাপদ  পানি ফুটানোর ব্যবস্থা না থাকলে পানি বিশুদ্ধকরণ পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে। 

এক লিটার পানিতে ৪ মিলিগ্রাম হ্যালোজেন ট্যাবলেট আধা ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা রাখলে পানি বিশুদ্ধ হবে। তবে এতে অন্যান্য জীবাণু মরলেও ভাইরাস জাতীয় জীবাণু মরে না। একমাত্র ফুটানোর ফলে ভাইরাস  জীবাণু ধ্বংস হয়। অনেকে ফিটকিরি ব্যবহার করতে আগ্রহী। কিন্তু ফিটকিরিতে পানি জীবণুমুক্ত হয় না। পানি বিশুদ্ধ করার জন্য বাসার পানির ট্যাংক এ ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করা চলে।  প্রতি এক হাজার লিটার পানিতে আড়াই গ্রাম  ব্লিচিং পাউডার ১ ঘন্টা রাখলে পানি বিশুদ্ধ হবে। এক্ষেত্রেও ভাইরাস জীবাণু ধ্বংস হবে না। 

 

বন্যার পানিতে হাঁটা কিংবা পানি শরীরে লাগানো স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। বন্যার পানিতে গোসল করা, কাপড়-চোপড় ধোয়া, থালা- বাসন পরিষ্কার করা চলবে না।  শিশু কিশোরদের বন্যার পানি থেকে দূরে রাখতে হবে। বন্যায় রাস্তাঘাটে পানি ঢুকে যায়। এসব জায়গায় খেলাধুলা করা যাবে না। কেননা বন্যার পানি শরীরে লেগে শিশু -কিশোরের চর্মরোগ কিংবা চক্ষু রোগ হতে পারে। তাই যতটা সম্ভব বন্যার পানি এড়িয়ে চলতে হবে। একজনের গামছা বা তোয়ালে আরেকজনের ব্যবহার করা যাবে না।

ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হলে পরিমাণ মতো খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। দু বছরের কম শিশুকে প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর ১০ থেকে ২০ চা চামচ খাবার স্যালাইন দিতে হবে। ২ থেকে ১০ বছরের শিশুকে দিতে হবে ২০ থেকে ২৪ চা চামচ।  ১০ বছরে বেশি শিশুকে দিতে হবে যতটা বেশি দেওয়া যায়।  খাবার স্যালাইন বা ওআরএস না থাকলে বিকল্প হিসেবে বাড়িতে প্রস্তুত কি তোর লবণ -গুড়ের শরবত খাওয়াতে হবে। এর সাথে ভাতের মাড়, চিড়ার পানি, ডাবের পানি খাওয়ানো যেতে পারে। প্রত্যেক শিশুকে এ সময় চিকিৎসকের পরামর্শ মত ভিটামিন -এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যেতে পারে।  যদি পাতলা পায়খানা ও বমির মাত্রা বেড়ে যায় তাহলে কাছের স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। কারণ এক্ষেত্রে রোগীরা শিরাপথে স্যালাইন ও অন্যান্য ঔষধের প্রয়োজন পড়ে। 

খাবার গ্রহণের সতর্ক হতে হবে। বাসি, পঁচা খাবার খাওয়া যাবে না। রাস্তার পাশ থেকে ফুচকা বা চটপটি খাওয়া একেবারেই বন্ধ করতে হবে। এ সময় খিচুড়ি খাওয়াটা স্বাস্থ্যোপযোগী। খাওয়ার আগে  সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে নিতে হবে। 

মলত্যাগের ক্ষেত্রেও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যেখানে সেখানে মলত্যাগ করার ফলে কৃমির সংক্রমন বেড়ে যায়। একটি নির্দিষ্ট স্থানে মলত্যাগ করতে হবে এবং মলত্যাগ করার পর সাবান বা ছাই দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে।মলত্যাগের সময় কখনো খালি পায়ে থাকা চলবে না। কেননা বক্র কৃমির জীবণু সর্বদা খালি পায়ের পাতার ভেতর দিয়ে শরীরের সংক্রমিত হয়। এ সময় বাসার সবাইকে এক ডোজ কৃমির ওষুধ খেতে হবে। তবে দুই বছর বয়সের নিচে কাউকে কৃমির ওষুধ খাওয়ানো নিরাপদ নয়।


ডা আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্য পরামর্শ বিষয়ক বই, আসুন সুস্থ থাকি, মানসিক স্বাস্থ্য, সিটি হেলথ সার্ভিসেস, মোহাম্মদপুর, Dr Abida Sultana, health, fitness,

                      ডা আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্য পরামর্শ বিষয়ক বই আসুন সুস্থ থাকি  ও মানসিক স্বাস্থ্য


বন্যায় স্বাস্থ্য সমস্যা : করনীয় || ডা. আবিদা সুলতানা 
Health problems in floods: Actionable || Dr. Abida Sultana

আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করে অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিন।



No comments

Powered by Blogger.