সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ডুমস্ক্রলিং’ বিষয়ে সতর্ক থাকুন || Beware of 'doomscrolling' on social media || Dr. Abida Sultana
নেতিবাচক বিষয়ের প্রতি মানুষের আকর্ষণ একটু বেশি কাজ করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নেতিবাচক বিষয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটানোকে বলা হয় 'ডুমস্ক্রলিং'। অধিক সময় ধরে সামাজিক মাধ্যমে ছবি, স্ট্যাটাস, ব্লগ স্ক্রল করার ফলে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এমনকি ক্রমাগত স্ক্রলিংয়ের ফলে খারাপ কোনো চক্করে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিও আছে।
ডুমস্ক্রলিং টার্মটি ২০১৮ সালে প্রথম ব্যবহার করা হলেও সাম্প্রতিককালে শব্দটির প্রচলন
অনেক বেড়েছে। এর অন্যতম একটি কারণ হলো- বর্তমানে নেতিবাচক সংবাদের পরিমাণ বেড়েছে। যা খুবই উদ্বেগের এবং হতাশাজনক। যারা অতিরিক্ত ডুমস্ক্রলে আসক্ত তারা হতাশা, বিষণ্ণতা, উদ্বেগ, ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন।
এ ছাড়া ব্যক্তির আত্মসম্মান নষ্ট করে দেয় এবং তিনি নিজেকে অসহায় ভাবেন।
অনেকে যদিও নেতিবাচক সংবাদ দেখার প্রবণতাকে অনিশ্চয়তা ও বিষণ্ণতা থেকে মুক্তির উপায় ভাবেন, তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সাময়িক সময়ের জন্য মুক্তি পেলেও দীর্ঘ সময়ের জন্য ব্যক্তির মানসিক স্বস্থ্যের ক্ষতি করে।
ডুমস্ক্রলিংয়ের নেতিবাচক প্রভাব
আত্মবিশ্বাস নষ্ট করে : সামাজিক মাধ্যমে অতিরিক্ত সময় ধরে নেতিবাচক খবর দেখার ফলে ব্যক্তি নিজেকে তুচ্ছ ভাবতে শুরু করেন। যার ফলে তার মধ্যে অপরাধবোধ, লজ্জা কাজ করে এবং তিনি যেকোনো ভুল সিদ্ধান্তের দিকে যেতে পারেন।
মানসিক চাপ বৃদ্ধি : সব সময় খারাপ সংবাদের মধ্যে থাকার কারণে ব্যক্তি নিজেকে অনিরাপদ ভাবতে শুরু করে। সব কিছুকেই নিজের জন্য হুমকি মনে করে।
ফলে ঘুম কম হয় এবং কাজের মনোযোগ নষ্ট হয়।
নেতিবাচক সংবাদের ভয়াল থাবা থেকে নিজেকে বাঁচাতে সামাজিক মাধ্যমে স্ক্রোল করার মাত্রা সীমিত করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ডুমস্ক্রলিং’ বিষয়ে সতর্ক থাকুন || ডা. আবিদা সুলতানাBeware of 'doomscrolling' on social media || Dr. Abida Sultana
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করে অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিন।
আরো পড়ুন ধূমপান ছাড়ার কিছু কার্যকর খাবার
No comments