Header Ads

রোযায় এসিডিটি কমানোর উপায় || Ways to reduce acidity in fasting || Dr. Abida Sultana

 

রোযায় এসিডিটি কমানোর উপায় || Ways to reduce acidity in fasting || Dr. Abida Sultana

রোযায় এসিডিটি কমানোর উপায় 

রোজায় অনেক সময় বিকেলের দিকে অথবা ইফতার ও সেহরির পর পেটে গ্যাস হয়। এতে হজমে সমস্যা, পেট ফাঁপা, পেট জ্বালাপোড়া করা, ঢেকুর ওঠা, পেট ব্যথা- ইত্যাদি হয়ে থাকে। পেটে মারাত্মক অস্বস্তির সৃষ্টিও হতে পারে। এ অবস্থা যে শুধু যাদের এসিডিটি আছে তাদের হচ্ছে এমন নয়। যারা নিয়মিত রোজা রাখছেন, তাদেরও এ সমস্যা হতে পারে।

এ অবস্থা তৈরি হয় রোজায় ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত আপনি কী খাচ্ছেন তার উপর ভিত্তি করে। রোজা থাকাকালীন এসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে কিছু নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করলে এই অস্বস্তি থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব। 

          ইফতার বা সেহরিতে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে। অতিরিক্ত খাবার গ্রহণে হজম প্রক্রিয়া চলাকালে স্টমাক বা পাকস্থলীর উপরে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এ কারণে বুক জ্বালা করতে পারে, এমনকি পেটে খাবার হজম করার পাচক রস কমে যায়। এতে খাবার আস্তে আস্তে হজম হয় ও বেশি সময় ধরে পাকস্থলীতে থাকে। ফলে পেট ব্যথা বা পেটে অস্বস্তি ভাব সৃষ্টি হয়।

         মনোযোগের সঙ্গে ধীরে ধীরে খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। খাবারের প্রতিটি ছোট ছোট কণা বুঝে খেলে হজম প্রক্রিয়ার জন্য যেমন ভালো, তেমনি কম খাওয়ার অভ্যাসও গড়ে তোলা যায়। কেউ যদি মাত্র ২০মিনিট যদি এভাবে আস্তে আস্তে মনোযোগের সঙ্গে খাওয়া অভ্যাস করে, তবে তার মস্তিষ্কে অটো কমান্ড যাবে যে- পেট ভরে গেছে।

          তৈলাক্ত, অতিরিক্ত ভাজা ও অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। বিপাক প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে দেরিতে ফ্যাট বা চর্বিজাত খাবার হজম হয়। দীর্ঘক্ষণ অভুক্ত থাকার পর পাকস্থলীতে বেশি সময় খাবার থাকলেই গ্যাস তৈরি করে ও পেটের অস্বস্তিভাব সৃষ্টিতে এক ধাপ এগিয়ে যায়। সাধারণত ইফতারীতে দোকান বা বাড়িতে ভাজাপোড়া বেশি তৈরি হয়। নিজে সতর্ক হয়ে ভাজাপোড়া বা তৈলাক্ত খাবার গ্রহণে না বলতে হবে। দাওয়াতে খেতে গিয়ে চেষ্টা করতে হবে বিনয়ের সাথে অনুরোধ উপেক্ষা করে নিজের খাবার নিজে বেছে নেয়ার।

          রোজা রাখা অবস্থায় কোনো ধরনের ব্যায়াম না করাই ভালো। তবে এসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে ইফতার ও সেহরির পর কিছুক্ষণ হাঁটাচলা অথবা ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজকে প্রাধান্য দিতে হবে। মনে রাখতে হবে খাওয়ার পরপর হাঁটাচলা না করে স্বাভাবিক কাজকর্ম করে ১০-১৫ মিনিট পর হাঁটা ভালো। 

          কিছু কিছু খাবার এসিডিটি প্রতিহত করতে সাহায্য করে। যেমন: ইফতারীর শুরুতে ঠান্ডা পানিতে ইফতার না করে রুম তাপমাত্রায় আধা গ্লাস পানিতে ১ চা চামচের চার ভাগের ১ ভাগ বেকিং সোডা গুলে খেয়ে নিন। এরপর স্বাভাবিক খাবার যেমন খেজুর বা খুরমা খেয়ে শরবত খেতে পারেন। কিন্তু শরবত যেন কম চিনিযুক্ত হয় খেয়াল রাখতে হবে। যাদের এসিডিটি আগে থেকেই আছে তাদের ইফতারীর আইটেমে ভিটামিন বি-যুক্ত খাবার প্রাধান্য দিতে হবে। পাতলা খিচুড়ি, চাল বা সাবুদানা মেশানো স্যুপ বেশি খাওয়ার চেষ্টা করুন। পাশাপাশি টক দইয়ের লাচ্ছি, পুদিনা পাতাও রাখুন।

 

 ডাঃ আবিদা সুলতানা স্বাস্থ্য পরামর্শ বিষয়ক বই আসুন সুস্থ থাকি 


আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করে অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিন।

 আরো পড়ুন   ধূমপান ছাড়ার কিছু কার্যকর খাবার


No comments

Powered by Blogger.