স্মার্টফোনের অ্যান্টি-ভাইরাস অ্যাপ || Smartphone Anti-Virus App || Dr. Abida Sultana
কম্পিউটারের মতো অ্যান্টি-ভাইরাস অ্যাপ অপরিহার্য স্মার্টফোনের জন্যও। অবশ্যই এসব অ্যাপ এর কার্যকারিতা নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। তবে সাধের হ্যান্ডসেটটিতে অ্যান্টি-ভাইরাস অ্যাপ ইন্সটল করা থাকলে কিছুটা হলেও স্বস্তি মেলে ব্যবহারকারীর। নিরাপদে থাকে ডিভাইসের সংরক্ষিত তথ্য। স্মার্টফোনে নিরাপত্তায় কার্যকর এমন বেশ কয়েকটি অ্যান্টি-ভাইরাস নিয়ে আলোচনা করব-
• ৩৬০ সিকিউরিটি : স্মার্টফোনের নিরাপত্তায় ব্যবহৃত জনপ্রিয় অ্যান্টি-ভাইরাস অ্যাপ গুলোর মধ্যে একটি ৩৬০ সিকিউরিটি। ডিভাইসের সংরক্ষিত ফাইল স্ক্যানের সামর্থ্য রয়েছে এর। এতে থাকা অ্যান্টু-থেফট হারানো ডিভাইস খুঁজে পেতে সহায়ক। পাসওয়ার্ড এর মাধ্যমে অন্য অ্যাপ সুরক্ষিত রাখতে রয়েছে applock functionality.
• নরটন সিকিউরিটি: মোবাইল নিরাপত্তা ও সবধরনের ভাইরাস আক্রমণ থেকে স্মার্টফোনটি সুরক্ষিত রাখে এই অ্যাপ। বিদ্বেষপূর্ণ অ্যাপ, চুরি বা ক্ষতির মতো হুমকি সম্পর্কে নোটিফিকেশনের মাধ্যমে এটি জানান দেয় ব্যবহারকারীকে। এছাড়া ম্যালওয়্যার, স্পাইওয়্যার সহ বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাপ থেকে স্মার্টফোন সুরক্ষিত রাখতে নরটন সিকিউরিটি সক্রিয় থাকে সর্বদাই।
• ট্রাস্টগো: অ্যান্টি-ভাইরাস ও মোবাইল নিরাপত্তা ব্যবহৃত অ্যাপ ট্রাস্টগো ডিভাইসকে সুরক্ষিত রাখে ক্ষতিকর ভাইরাস ও অন্য ম্যালোয়ার থেকে। অ্যান্টি- ভাইরাস অ্যাপ এর মতোই এর প্রধান কাজ ফাইল স্ক্যানিং ও রিয়েল টাইম প্রোটেকশন। এতে আছে প্রাইভেসি গার্ড। এর মাধ্যমে ডিভাইসের অনুমতি সাপেক্ষে অ্যাপ কিভাবে কাজ করে তা পর্যবেক্ষণ করতে পারেন ব্যবহারকারী। এছাড়া এতে আছে সিস্টেম ম্যানেজার ডাটা, ব্যাকআপ এর মত গুরুত্বপূর্ণ ফিচার।
• আভিরা অ্যান্টি-ভাইরাস সিকিউরিটি: বহু ব্যবহারকারীর মন অল্প দিনেই জয়েন করে নিয়েছে আভিরা অ্যান্টি-ভাইরাস সিকিউরিটি অ্যাপ। ম্যালওয়্যার স্ক্যান, রিয়েল টাইম প্রোটেকশন সহ প্রয়োজনীয় ফাংশন গুলো রয়েছে এতে। এছাড়া আছে স্টেজফাইট এডভাইজার এর মতো নতুন কিছু ফিচার। এসব ফিচার অ্যাটি-থেফিট, অ্যান্টি- প্রাইভেসি সহ বিভিন্ন বিষয় থেকে ডিভাইসকে সুরক্ষিত রাখে।
• অ্যাভাস্ট মোবাইল সিকিউরিটি: জনপ্রিয় অ্যান্টি-ভাইরাস এপ্লিকেশনের নির্মাতা অ্যাভেস্টর সৃষ্টি অ্যাভেস্ট মোবাইল সিকিউরিটি। এ অ্যাপ ইন্সটল করা আছে ১০ কোটি বেশি ডিভাইসে। হারানো ডিভাইস লক করে দেওয়া সুবিধা রয়েছে এতে। এছাড়া আছে হ্যান্ডসেট স্ক্যানিং, অ্যান্টি-থেফিট ফাংশনালিটির মতো ফিচার।
• অ্যাপ হিসেবে এটি বেশ ভারী। দুই গিগাবাইট কিংবা এর বেশি র্যামের ডিভাইস হলে মোবাইল সিকিউরিটি অ্যাপ সঠিক উপায়ে কাজ করতে পারে। রিমোট ডাটা রিকভারি, জিওফেন্সিং, অ্যাড ডিটেকশন, অ্যাপ লকিং সহ বিভিন্ন ফিচার আছে এতে।
• এভিজি অ্যান্টি-ভাইরাস সিকিউরিটি: ম্যালওয়্যার প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে কার্যকর এভিজির জন্য কোনো ভূমিকার প্রয়োজন নেই। এর অ্যান্টি-ভাইরাস সিকিউরিটি অ্যাও বেশ কিছু ফিচারে পূর্ণ। অ্যাপটি ভীষণ হালকা। বড় ফিচারগুলোর মধ্যে রয়েছে রিয়েল টাইম প্রোটেকশন ও ভাইরাস ডেফিনেশন ডাটাবেসের ধারাবাহিক হালনাগাদ। এছাড়া আছে টাস্ক কিলার, রিমোট ডাটা টাইপ। ব্যাটারি ডিভাইস ও ডাটা ব্যবহারের খতিয়ান পর্যবেক্ষণ করা যায় এই অ্যাপের মাধ্যমে, আছে কল ব্লকিং সুবিধাও।
• বিটডিফেন্ডার অ্যান্টিভাইরাস ফ্রি: বিটডিফেন্ডার
অ্যান্টিভাইরাস ফ্রি-তে রয়েছে দুটো ফিচার ডিভাইস স্ক্যানিং ও ডিভাইস
ক্লিনিং। স্মার্টফোনকে সুরক্ষিত রাখতে এতেও আছে এতেও আছে রিয়েল
টাইম প্রোটেকশন সুবিধা। ভাইরাস থেকে হ্যান্ডসেট সুরক্ষিত রাখতে বিটডিফেন্ডার
ক্লাউড স্ক্যানিং প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করে। সিএম সিকিউরিটি
ম্যালওয়্যার আক্রমণ থেকে স্মার্টফোনের মতো মোবাইল ডিভাইসকে সুরক্ষিত রাখতে দারুন
কার্যকর। ম্যালওয়্যার স্ক্যানিং ও রিয়েল টাইম প্রোটেকশন এর মতো ফিচার
তো আছেই।
স্মার্টফোনের অ্যান্টি-ভাইরাস অ্যাপ || ডা. আবিদা সুলতানা
Smartphone Anti-Virus App || Dr. Abida Sultana
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করে অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিন।
আরো পড়ুন ধূমপান ছাড়ার কিছু কার্যকর খাবার
No comments