Header Ads

থাইরয়েড ক্যন্সারের চিকিৎসা || Thyroid Cancer Treatment || Dr. Abida Sultana

থাইরয়েড ক্যন্সারের চিকিৎসা || ডা. আবিদা সুলতানা || Thyroid Cancer Treatment || Dr. Abida Sultana |

থাইরয়েড ক্যান্সারের কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। প্রথমটি হল রোগ নির্ণয়। এখন অনেক উন্নত প্রযুক্তি এসেছে রোগ নির্ণয়ে বিশেষ করে আল্ট্রাসাউন্ড বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। এই আল্ট্রাসাউন্ডে নোডিউল দেখে ডাক্তারেরা বলেন থাইরয়েড ক্যান্সার হয়েছে কিনা বা কোন পর্যায়ে হয়েছে। এবং থাইরয়েড নির্ণয়ের আরেকটি পদ্ধতি হল ইলাস্টোস্ক্যান। অর্থাৎ ক্যান্সার নির্ণয়ে আল্ট্রাসাউন্ড। এর মাধ্যমে, ডাক্তারেরা রঙ দেখে টিস্যুর স্থিতিস্থাপকতার পার্থক্য করে ক্যান্সার আছে কি না তা বলতে পারেন। আরেকটি মাধ্যম হল FNAC থাইরয়েড ক্যন্সারের চিকিৎসা, এফএনএসি-এর আগে ইলাস্টোস্ক্যান করতে হবে কারণ এফএনএসি একটি নোডিউল থেকে করা যেতে পারে, কিন্তু ইলাস্টোস্ক্যান যদি পাঁচটি নোডিউলে থাকে তবে কোনটি ভাল এবং কোনটি খারাপ তা আলাদা করা যায়। এবং কোন সূঁচ নেই, কোন রক্তপাত নেই।

থাইরয়েড ক্যন্সারের চিকিৎসা 

থাইরয়েড ক্যান্সারের জন্য কোন কেমোথেরাপি কখনোই কাজ করবে না। শুধুমাত্র থাইরয়েড গ্রন্থির ক্যান্সারযুক্ত টিস্যু অপসারণ করা উচিত কারণ পুরো গ্রন্থিটি অপসারণ করা সম্ভব নয়। মেয়েদের থাইরয়েড সমস্যা তার সমাধান, এর জন্য রোগীদের অস্ত্রোপচার পরবর্তী রেডিও অ্যাবলেশনের জন্য নিউক্লিয়ার মেডিসিন সেন্টারে আসা উচিত। এবং পোস্টোপারেটিভ রেডিও অ্যাবলেশন শুধুমাত্র নিউক্লিয়ার মেডিসিন সেন্টারে করা হয়।

থাইরয়েড ক্যান্সারের আরেকটি চিকিৎসা হল একটি সুচ দিয়ে টিউমার অ্যাবলেশন, একটি সুই দিয়ে আমরা টিউমার কেটে টিউমার পুড়িয়ে ফেলি। এটি ক্যান্সার বা সাধারণ টিউমার হতে পারে। একে মাইক্রোওয়েভ রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি অ্যাবলেশন বলে।

 

থাইরয়েড হলো গলার দুই পাশে থাকা একটি বিশেষ গ্রন্থি। এই গ্রন্থির কাজ হলো আমাদের শরীরের কিছু অত্যাবশ্যকীয় হরমোন (থাইরয়েড হরমোন) উৎপাদন করা। শরীরের জন্য থাইরয়েড হরমোনের একটি নির্দিষ্ট মাত্রা আছে। নির্দিষ্ট মাত্রার থেকে কম বা বেশি হরমোন উৎপাদিত হলেই শরীরের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করে।

থাইরয়েড হরমোন কম উৎপন্ন হলে তাকে হাইপোথাইরয়েডিসম বলে এবং বেশি উৎপন্ন হলে তাকে হাইপারথাইরয়েডিসম বলে। থাইরয়েড হলে শরীরে কিছু পরিবর্তন দেখা যায়। আপনার শরীরে যদি এসব লক্ষণের কোনোটা দেখতে পান, তবে বুঝবেন আপনি থাইরয়েড সমস্যায় ভুগছেন।

থাইরয়েড হরমোনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে স্নায়ুর পরিপক্বতা। এজন্য গর্ভাবস্থায় থাইরয়েড হরমোনের স্বল্পতায় গর্ভের বাচ্চা বুদ্ধিদীপ্ত হয় না। যেসব উদ্দীপনায় বিপাক ক্রিয়া বেড়ে যায় যেমন- যৌবনপ্রাপ্তি, গর্ভাবস্থা, শরীরবৃত্তীয় কোনো চাপ ইত্যাদি কারণে থাইরয়েড গ্লান্ডের আকারগত বা কার্যকারিতায় পরিবর্তন হতে পারে।

থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে মূলত দুই ধরনের সমস্যা দেখা যায়গঠনগত কার্যগত। এটা বিভিন্ন উপায়ে প্রকাশ পেতে পারে। গঠনগত সমস্যায় থাইরয়েড গ্রন্থি ফুলে যায় যেটাকে গয়টার বা গলগণ্ড বলা হয়; এছাড়া থাইরয়েড গ্লান্ডে গোটা বা নডিউল এবং ক্যান্সার হতে পারে।

কার্যগত সমস্যা দুই রকমের হয়ে থাকে, যা হলো থাইরয়েড গ্লান্ডের অতিরিক্ত কার্যকারিতা বা হাইপারথায়রয়েডিজম এবং কার্যকারিতা হ্রাস বা হাইপোথায়রয়েডিজম। এছাড়া থাইরয়েড গ্লান্ডের প্রদাহ বা থাইরয়ডাইটিস হতে পারে। হাইপারথাইরয়ডিজম রোগে থাইরয়েড গ্লান্ড বেশি মাত্রায় সক্রিয় হয়ে পড়ে। থাইরয়েড গ্লান্ডের অতিরিক্ত কার্যকারিতার ফলে প্রচণ্ড গরম লাগা, হাত পা ঘামা, পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা, খাওয়ার রুচি স্বাভাবিক বা বেড়ে যাওয়ার পরও ওজন কমে যাওয়া, ঘন ঘন পায়খানা হওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।

হাইপোথায়রয়ডিজমের লক্ষণ : অবসাদগ্রস্ত হওয়া, ত্বক খসখসে হয়ে যায়, ক্ষুধা মন্দা, চুল পড়া। ওজন বেড়ে যাওয়া, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া, শীত শীত ভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া, রক্তচাপ বাড়া, মাসিকের সমস্যা ইত্যাদি। বন্ধ্যত্ব সমস্যা হতে পারে। গর্ভধারণকালে গর্ভপাত হতে পারে। কনজেনিটাল হাইপোথাইরয়ডিজমে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ হয় না।

থাইরয়েড ক্যান্সার : থাইরয়েড গ্রন্থির কোনো অংশের কোষ সংখ্যা অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পেলে তাকে থাইরয়েড ক্যান্সার বলে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে থাইরয়েড গ্রন্থি বা এর অংশবিশেষ ফুলে ওঠা মানেই ক্যান্সার নয়। থাইরয়েড ক্যান্সারে যে লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে : গলার সম্মুখভাগে ফুলে ওঠা। ফোলা অংশটি বেশ শক্ত হয়। এক বা একাধিক টিউমার হতে পারে। উভয় পাশে টিউমার হতে পারে, আশপাশের লিঙ্ক নোডগুলো ফুলে উঠতে পারে। ওজন কমে যায়।

খাওয়ার রুচি কমে যেতে পারে। গলার স্বর মোটা বা ফ্যাসফেসে হতে পারে। তবে থাইরয়েড নোডিউল বা ক্যান্সার ছাড়াও গলার সামনে ফুলে উঠতে পারে। শ্বাসনালির ওপর চাপ সৃষ্টির ফলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। ক্যান্সার শনাক্ত হলে বা ক্যান্সার আছে এমন সন্দেহ হলে অতিদ্রুত নাক, কান গলা বিশেষজ্ঞ বা থাইরয়েড অপারেশনে পারদর্শী কোনো সার্জনের কাছে যেতে হবে।


কী খাবেন

সামুদ্রিক সবজি

আয়োডিন সমৃদ্ধ সামুদ্রিক সবজিতে রয়েছে প্রাকৃতিক খনিজ উপাদান। এসব সবজি থায়রয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতা বাড়ানো, শরীরে থাইরক্সিন অত্যাবশ্যক  এবং এটা গঠনে আয়োডিন সাহায্য করে।

সবুজ শাকসবজি

সুস্থ থাকতে হলে প্রতিদিনের খাবার রেসিপিতে সবুজ শাকসবজি রাখুন। সবুজ শাকসবজিতে রয়েছে ভিটামিন ক্লোরোফিলের মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই দুটি উপাদান শরীরের কার্যকারিতা বাড়ায় শরীর থেকে ক্ষতিকর উপাদান বের করে দিয়ে থাইরয়েডের কার্যক্রম ধরে রাখে। এছাড়া থাইরয়েডের দুর্বলভাব দূরে করে শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। 

প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার

দেহ সুস্থ রাখতে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের জুড়ি নেই। থায়রয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতা বাড়াতে দই খাওয়া যেতে পারে। দইয়ে আছে আয়োডিন এবং প্রোবায়োটিক যা থাইরয়েডের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে রাখে। এছাড়া ডিম, জিংক থাইরয়েডের কার্যকারিতার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। 

থারয়েড সুস্থ রাখতে যেসব খাবার খাবেন না

কিছু খাবার রয়েছে যা কখনোই খাবেন না। এসব খাবার এড়িয়ে চলছে ভালো থাকবে আপনার থায়রয়েড।  গ্লুটেইন , শষ্য-জাতীয় খাবার যা আঁশ সমৃদ্ধ, চিনি কড়া ভাজা খাবার সয়া-ধর্মী খাবার একদমই খাবেন না। 

কখন চিকিৎসা প্রয়োজন 

থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি যা সাধারণত আয়োডিনের অভাব থেকে হয়। থাইরয়েড হরমোনে অতিরিক্ত নিঃসরণের ফলে গ্রন্থির আকার বৃদ্ধি পায়। থাইরয়েড গ্রন্থির টিউমার ক্যান্সার।
 

থাইরয়েড ক্যন্সারের চিকিৎসা || ডা. আবিদা সুলতানা || Thyroid Cancer Treatment || Dr. Abida Sultana

আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করে অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিন।

ডাঃ আবিদা সুলতানা স্বাস্থ্য পরামর্শ বিষয়ক বই আসুন সুস্থ থাকি 


No comments

Powered by Blogger.