Header Ads

বিব্রতকর সমস্যা ব্রণ || Embarrassing problem acne || Dr. Abida Sultana

বিব্রতকর সমস্যা ব্রণ || ডা. আবিদা সুলতানা || Embarrassing problem acne || Dr. Abida Sultana


যৌবনের অবাঞ্ছিত একটি সমস্যা ব্রণ। সুন্দর মুখশ্রীর ওপর ব্রণের প্রভাব বিরক্তের কারণ বটে। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিলে ব্রণের সমস্যা এড়ানো যায়। ব্রণ প্রথম দেখা দেয় বয়ঃসন্ধির সময়।  ছেলেদের ১৬ থেকে ১৯ বছর বয়সে ও মেয়েদের ১৪ থেকে ১৬ বছর বয়সে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। তবে যে কোনো বয়সে তা হতে পারে। ৮০ শতাংশের ক্ষেত্রে ২০ বছর বয়সের মাঝামাঝি সময় থেকে ব্রণ হওয়ার হার কমে যেতে থাকে। তবে অনেকের ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত ব্রণ হওয়ার প্রবণতা থেকেই যায়। ব্রণ সাধারণত মুখে দেখা গেলেও পিঠে, ঘাড়ে ও বুকে হতে পারে। 

 

কারণ

ত্বকে অনেক সিবাসিয়াস গ্রন্থি থাকে, যা থেকে সব সময় সিবাম নামক এক ধরনের তৈলাক্ত রস নিঃসৃত হয়। লোমকূপ দিয়ে এই সিবাম বের হয়ে ত্বকে ছড়িয়ে পড়ে বিধায় ত্বকে নরম, মসৃণ ও তৈলাক্ত ভাব আসে। যদি কোনো কারণে সিবামের নিঃসরণ বৃদ্ধি ঘটে এবং লোমের গোড়ায় বিদ্যমান ক্যারোটিন (এক ধরনের প্রোটন জাতীয় পদার্থ) ধূলাবালির সঙ্গে মিশে সেখানকার ছিদ্রপথ বা নির্গমের পথ বন্ধ করে দেয়, তখন সিবাম বের হতে না পেরে জমা হয়ে ব্রণ হিসেবে প্রকাশ পায়। ব্রণ হওয়ার আরো কিছু কারণ হলো-

 

•  টিনেজারদের ক্ষেত্রে বয়সন্ধিকালে এন্ড্রোজেন হরমোনের আধিক্য।

• মাসিক বা গর্ভাবস্থায় হরমোনের মাত্রা পরিবর্তন। 

• কসমেটিক, বিশেষ করে ঘন ঘন মশ্চারাইজিং লোশন ব্যবহার বা কড়া মেকাপের প্রভাব। 

• বেশি আবেগ। 

• অত্যাধিক গরম। 

• তেলতেলে মাথা ও মাথার খুশকি।

• মানসিক চাপ ও পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া। 

• কেরোসিন বা কয়লার ( যেমন- ফার্নিচারের বার্নিশ) প্রভাব। 

• এক দিকে কাত হয়ে ঘুমানো বা হাতের উপর মুখ রেখে ঘুমানো।

• জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি, স্টেরয়েড, খিচুনি বা মানসিক রোগের ঔষধ ইত্যাদির প্রভাব। 

• পরিস্কার- পরিচ্ছন্নতার অভাব ও নারীদের মাসিক ঈ ঋতুস্রাবের সঙ্গেও ব্রণের সম্পর্ক রয়েছে।

 

ধরণ

ব্রণ নানা ধরনের রয়েছে। ছোট ছোট গোল ফুসকুড়ি, লালচে ছোট ছোট  গোটা, আবার  পুঁজপূর্ণ বড় চাকা হতে পারে। ব্রণ টিপলে ভাতের দানার মত বের হয়ে আসে। কিছু ব্রণ খুব যন্ত্রণাদায়ক হয়। এতে  ত্বকে ছিদ্র দেখা দিতে পারে। কারো কারো মুখে ব্রনের তীব্রতা বেশি থাকলে তা এবড়োথেবড়ো দেখায়।

 

চিকিৎসা

সচেতনতার মাধ্যমে বেশির ভাগ ব্রণ দূর করা যায় বা কমানো যায়। তবে আক্রান্তের গুরুত্ব বিবেচনা করে  ডার্মাটোলজিস্ট বা চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা নিতে হবে। চিকিৎসা না করালে অনেক সময় ব্রণ ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি, বিশেষ করে ত্বকে গভীর প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। এজন্য মলম প্রয়োগ, অ্যান্টিবায়োটিক বার রেটিনয়েট জাতীয় ঔষধ সেবনের প্রয়োজন হতে পারে। তাই করনীয় হলো -

 

রাতে ঘুমানোর সময় ভালো করে মুখ ধুয়ে শুধু ব্রণ গুলোর উপর চিকিৎসকের পরামর্শ মতো জেল লাগানো।  এটি ব্যবহারে অনেকের চুলকানি বা ত্বকে লাল আভা হতে পারে। যা দু-একদিন পর ঠিক হয়ে যায়। তবে অতিরিক্ত চুলকানি বা লাল ভাব বেশি হলে ব্যবহার বন্ধ করে দিতে হবে।



বিব্রতকর সমস্যা ব্রণ || ডা. আবিদা সুলতানা
Embarrassing problem acne || Dr. Abida Sultana


আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করে অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিন।

ডাঃ আবিদা সুলতানা স্বাস্থ্য পরামর্শ বিষয়ক বই আসুন সুস্থ থাকি 

No comments

Powered by Blogger.