ডায়াবেটিস রোগীর খাওয়া-দাওয়া || Diet of Diabetic Patients || Dr. Abida Sultana
ইদানিং উপমহাদেশের ডায়াবেটিসের প্রকোপ আশংকাজনক হারে বেড়েছে। রক্তের সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাওয়া-দাওয়ার ভূমিকা রয়েছে। তার মানে কিন্তু এই নয় যে, ভালো খাবার থেকে সবসময় দূরে থাকতে হবে।
সঠিক ডায়েট প্ল্যান করলে ডায়াবেটিসের রোগী এক- আধ দিন রসগোল্লা খেতে পারেন। তবে যেটা দরকার তা হলো পরিমিতিবোধ, সময়ানুবর্তিতা ও নিয়মানুবর্তিতা।
ডায়াবেটিস রোগীর খাওয়া-দাওয়া
- প্রথমে আসা যাক কার্বোহাইড্রেট প্রসঙ্গে। রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট যেমন - ময়দা, মিহি পলিশড চাল, সাদা পাউরুটি ইত্যাদি রোজকার ডায়েট থেকে বাদ দিন। বেশি ফাইবারযুক্ত কার্বোহাইড্রেট যেমন- ভুসিযুক্ত আটার রুটি, ঢেঁকি ছাঁটা চাল বা ব্রাউন রাইস খান।
- চিনিযুক্ত ব্রেকফাস্ট সিরিয়ালের পরিবর্তে হাই ফাইবার ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল, ইন্সট্যান্ট ওটমিলের বদলে রোলড ওটস বা স্টিল কাট ওটস বেছে নিন।
- আলুভাজা যতই ভালবাসেন না কেন, চলবে না। বরং রাঙা আলু, ফুলকপি খেলেই ভালো।
- মিষ্টি খেতে যারা ভালবাসেন তাদের তো সমস্যা বটেই, যারা মিষ্টি ভালোবাসেন না, তাদেরও ডায়াবেটিস হলে মিষ্টির প্রতি আকাঙ্ক্ষা বাড়ে। তবে ডায়াবেটিস হলে যে মিষ্টি একেবারেই বাদ তা কিন্তু নয়। মাঝেমধ্যে একটা ছোট সন্দেশ বা রসগোল্লা দুই এক চামচ পুডিং, কাস্টার্ড বা আইসক্রিম খাওয়া যেতেই পারে। কিন্তু টোটাল ক্যালোরি ইনটেক খেয়াল রাখতে হবে। আর যেদিন মিষ্টি খাবেন সেদিন মিনিট পনেরো বেশি হাঁটবেন।
- ফ্যাট বা তেলজাতীয় খাবার খেতে হবে বুঝে শুনে। স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ট্র্যান্স ফ্যাট ডায়াবেটিকদের জন্য তো বটে, কারো জন্যই ভালো না। এর মধ্যে আছে বনস্পতি, লিকুইড ভেজিটেবল ওয়েল, হোল মিল্ক, রেড মিট ইত্যাদি। এগুলা যত সম্ভব এড়িয়ে চলুন। অন্যদিকে রয়েছে অলিভ অয়েল, বাদাম, দই ইত্যাদি খেতে পারেন।
- উচ্চমাত্রায় ফাইবার যুক্ত সবজি যেমন ব্রকলি, মটরশুটি, পাতাওয়ালা সবজি ইত্যাদি রাখুন ডায়েটে। ডাল জাতীয় খাবার ও রাখতে পারেন। উচ্চ ফাইবারযুক্ত ফল খেতে পারেন। ডায়েটে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম আর পর্যাপ্ত প্রোটিন থাকতে হবে। সারাদিন ছোটো ছোটো মিলে ভাগ করে খাবার খান।
- এছাড়া ব্রেন ও হার্টকে সুরক্ষিত রাখতে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। পোনা মাছ, স্যামন মাছ সহ যে কোন সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়।
ডায়াবেটিস রোগীর উচিৎ খাওয়া-দাওয়ার এই নিয়মগুলো মেনে চলা।
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করে অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিন।
ডাঃ আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্য পরামর্শ বিষয়ক বই আসুন সুস্থ থাকি
No comments