কাশির চিকিৎসায় কার্যকর মধু || Honey is effective in treating cough || Dr. Abida Sultana
কাশির
চিকিৎসায় এতদিন অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের পরামর্শের চিকিৎসকরা।
তবে এবার কাশির চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক এর উপর নির্ভরতা কমানোর কথা চিন্তা করেছেন চিকিৎসকরা।
এর পরিবর্তে প্রকৃতিক উপায় খুঁজছেন তারা।
সম্প্রতি নতুন এক গবেষণায় বলা হচ্ছে কাশির চিকিৎসা সবচেয়ে বড় সহায়ক হয়ে উঠতে পারে মধু।
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর হেলথ এন্ড কেয়ার এক্সিলেন্স এবং পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড সম্প্রীতি এ সংক্রান্ত নতুন একটি প্রস্তাবিত নির্দেশনা প্রকাশ করেছেন।
গবেষণা
তথ্য অনুযায়ী, কাশির চিকিৎসার জন্য অনেক সময় অ্যান্টিবায়োটিক ভালো কাজ করে। এসব
ক্ষেত্রে দারুন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে মধু।
তাদের মতে বেশিরভাগ সময় কাশি দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে নিজে থেকে ঠিক হয়ে যায়।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের এই পরামর্শ অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের সমস্যা মোকাবেলায় ভালো ভূমিকা রাখবে।
কেননা অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ ব্যবহারের ফলে মানুষের শরীরে ঔষধ প্রতিরোধী হয়ে পড়ে।
ফলে অনেক ধরনের ইনফেকশন সরিয়ে তোলা কঠিন হয়ে পড়ে।
ডাঃ আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্য পরামর্শ বিষয়ক বই আসুন সুস্থ থাকি
কাশি
সারাতে মধুর ব্যবহার বিধান সম্পর্কে বলা হয়েছে, গরম পানিতে সামান্য মধু, লেবুর রস এবং
আদার রসের মিশ্রণ হিসেবে ব্যবহার করলে তা কফ এবং গলা ব্যথা নিরাময়ের জন্য দারুন কাজ করে।
কফের সমস্যা পুরোপুরি সারিয়ে তোলার ব্যাপারে সীমিত কিছু প্রমাণ পাওয়া গেছে যেটা অনেকের কাজে আসতে পারে।
যেসব কফ মেডিসিনে পেলারগোনিয়াম,গুয়াইফেনেসিন বা ডিক্সট্রোমেথরফ্যান রয়েছে তা বেশি উপকারী হতে পারে।রোগীদের ঘরোয়া পানি ও তৈরির পাশাপাশি এ ধরনের ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তাদের মতে কাশি হলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগে নিজে নিজে রোগ সেরে ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করা ভালো।
মধু এক্ষেত্রে আদর্শ ঔষধ হলেও এক বছর বয়সের নিচে শিশুদের মধু খাওয়াতে নিষেধ করেছেন।বিশেষজ্ঞরা।
কেননা মধুতে অনেক ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে, যেটা খেলে শিশুর পেট খারাপের ঝুঁকি থাকে
পাবলিক
হেলথ ইংল্যান্ড এর উপ পরিচালক ডা.
সুজান হপকিন্স বলেছেন, মানুষের শরীরে যদি অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে পড়ে তাহলে সেটা বড় সমস্যা তৈরি হতে পারে।
অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার কমাতে আমাদের এখন থেকে পদক্ষেপ নিতে হবে।
ইংল্যান্ডের
প্রধান মেডিকেল কর্মকর্তা প্রফেসর ডেইম স্যালি ডেভিস ইতোমধ্যে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ব্যাপারে সতর্ক করেছেন।
তিনি বলেন যদি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ কাজ করতে ব্যর্থ হয় তাহলে রোগের চিকিৎসা আরও জটিল হয়ে পড়ে।
সেই সঙ্গে সাধারণ চিকিৎসা পদ্ধতি যেমন ক্যান্সার এবং অঙ্গ প্রতিস্থাপনের চিকিৎসা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।
No comments