মাংস তো খাবেনই, তবে.... || You will eat meat, but... || Dr. Abida Sultana
খাবারে তালিকায় অন্য যা কিছু থাক না কেন, মাংস ছাড়া কোরবানির ঈদ যেন শুরুই হয় না। ওজনাধিক্য, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও কিডনির রোগীরদের গরু ও খাসির মাংস খেতে বারণ করেন চিকিৎসকেরা। তাই বলে মাংস কি শুধুই খারাপ?
মাংস হচ্ছে প্রাণীজ আমিষ, আয়রন, জিংক, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, সেলেনিয়াম ও ভিটামিন বি ১২ এর অন্যতম উৎস। সাধারণভাবে একজন
মানুষ দিনে ৫০ থেকে ৭০ গ্রাম বা সপ্তাহে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম মাংস খেতে
পারেন। কিন্তু রেড মিট বা গরু ও খাসির মাংসে সম্পৃক্ত চর্বি বেশি তাই অতিভোজনে
রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গিয়ে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্ট্রোক ও ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। তাই একটু সতর্কতার
সঙ্গে ও মাত্রা বুঝে মাংস খাওয়া উচিত।
• মাংস কাটার সময় দৃশ্যমান চর্বি আলাদা করে ফেলে দিন। মাংস
পাতলা ও ছোট টুকরা করুন। এতে চর্বি কমে যাবে।
• মাংস রান্না করার সময় বেশি তেল দিয়ে ভুনা না করে অল্প তেলে
রান্না করুন। আরো ভালো হয় তেল ছাড়া বেক, গ্রিল, স্টেক
ইত্যাদি করে খেতে পারলে।
সংগ্রহ করুন ডাঃ আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্য পরামর্শ বিষয়ক বই আসুন সুস্থ থাকি
• উচ্চতাপে দীর্ঘ সময় ধরে মাংস রান্না করলে কিছু ক্ষতিকারক
রাসায়নিক তৈরি হয়। তাই অল্প তাপে মাংস রান্না করুন।
• মাংস রান্নার আগে সেদ্ধ করে পানি ফেলে নিন। এতে মাংসের
চর্বি অনেকটাই কমে আসে।
• রান্না করা মাংস বারবার গরম করবেন না। মাংসের পুষ্টিগুণ
নষ্ট হয়, ক্ষতিকর
উপাদান তৈরি হয়।
• ডেজার্ট এর পরিবর্তে মাঠা, জিরা পানি বা টক দই রাখুন।
• উৎসবে আনন্দে নিয়মিত ওষুধ সেবন যেন বাদ না পড়ে। নিয়মিত
হাঁটা বা ব্যায়াম করা বাদ দেবেন না।
মাংস তো খাবেনই, তবে.... || ডাঃ আবিদা সুলতানা
You will eat meat, but... || Dr. Abida Sultana
আর্টিকেলটি
ভালো লাগলে শেয়ার করে অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিন।
ডাঃ আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্য পরামর্শ বিষয়ক বই আসুন সুস্থ থাকি
No comments