লবণের ভালো-মন্দ দিক || Advantages and disadvantages of salt Dr. Abida Sultana
খাবারের লবণ অতি জরুরি একটি অংশ। বেশি দিলেও যেমন খাওয়া যায় না কম বা না দিলেও খাবার যোগ্য থাকে না। তেমনি লবণ বেশি খেলেও ,কম বা না খেলেও শরীরের ক্ষতি হতে পারে। লবণের ভালো মন্দের দুটি দিকে রয়েছে।
লবণ নার্ভ সেলের কার্যকলাপের জন্য খুব জরুরী। ব্লাড প্রেসারের এর জন্য উপকারী, মাংসপেশী ব্যথা প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়াও সর্দি কমানো, সাইনাসের কনজেশন ভাব দূর করতে লবণ সাহায্য করে। শুকনো কাশির সময় মুখে সামান্য লবণ রাখলে ঘন ঘন কাশি হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। লবণ এক ধরনের স্টেস ফুড। এটি সিমপ্যাথিক নার্ভ সিস্টেমকে উদ্দীপিত করে যা স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের সম্ভবনা বাড়ায়। ঘাম বেশি হয়ে গেলে লবণ পানি শরীরে ধরে রাখে। তাই লবণ বেশি খেলে হাই ব্লাড প্রেসারে আশঙ্কা থাকে। খাবারে বাড়তি লবণ খাওয়ার ফলে পাকস্থলী আস্তরণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে ধীরে ধীরে পাকস্থলীতে ক্ষত সৃষ্টি হয়। লবণ হাড় থেকে ক্যালসিয়াম শুষে নেয়, শরীর থেকে বর্জ্য বের করে হওয়ার কাজে ব্যাঘাত ঘটায়। এর জন্য ইউরিক এসিড বৃদ্ধি, বাতের সমস্যা দেখা যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা দৈনিক চার থেকে পাঁচ গ্রাম বেশি লবণ খায় তাদের এই সমস্যা বেশি হয়। তাই প্রতি লিটারে ১.৫২ গ্রামের বেশী লবন খাওয়া যাবে না। রান্নার সময় যতটা প্রয়োজন ব্যবহার রান্নার সময় যতটা প্রয়োজন ততটা লবণ ব্যবহার করতে হবে। খাবার টেবিলে বরাবর লবনদানি থেকে কাঁচা লবণ নিয়ে খাওয়ার অভ্যাস কমাতে হবে। যেসব খাবারের লবণ বেশি থাকে যেমন, আচার, প্যাকেটজাত সুপ, পনিরের বার্গার বা স্যান্ডউইচ, আলুচিপ, পপকর্ন এসব খাওয়া কমাতে হবে। ডিজানারেটিভ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে লবণ খাওয়া একেবারে বাদ দিতে হবে।
ডাঃ আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্য পরামর্শ বিষয়ক বই আসুন সুস্থ থাকি
No comments