কাঁঠালের পুষ্টিগুণ || Nutritional value of jackfruit || Dr. Abida Sultana
গ্রীষ্মের রসালো ফল কাঁঠাল সব বয়সী নারী পুরুষের জন্য খুব উপকারী।
• কাঁঠালে থাকে ৯০ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট। এতে থাকা শর্করা, ফ্রুক্টোজ ও সুক্রোজ দ্রুত শক্তি জোগান দেয়। আমিষ, শ্বেতসার, অপুষ্টিজনিত সমস্যা দূর করে।
• কাঁঠালের চর্বি বা কোলেস্টেরলের পরিমাণ খুব কম। এতে থাকা ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়, রাতকানা ও অন্ধত্ব থেকে রক্ষা করে। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দাঁতের মাড়িকে শক্তিশালী করে।
• পর্যাপ্ত বিটা ক্যারোটিন, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম দাঁত ও হাড় সুস্থ রাখে, ত্বক সুন্দর করে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের বলিরেখা দূর করে বা বয়সের ছাপ কমায়। ১০০ গ্রাম কাঁঠালে পটাশিয়ামের পরিমাণ ৩০৩ মিলিগ্রাম, যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস আলসার,ক্যান্সার উচ্চ রক্তচাপ ও বার্ধক্য প্রতিরোধে সক্ষম।
• কাঁঠালের থাকা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যালস থেকে রক্ষা করে। সর্দি কাশির সংক্রমণ ঠেকাতে, টেনশন এবং নার্ভাসনেস কমাতে কাঁঠাল বেশ কার্যকর।
• কাঁঠালে থাকা খনিজ উপাদান আয়রন রক্তস্বল্পতা দূর করে। ম্যাঙ্গানিজ রক্তের শর্করা বা চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে।
• ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম এর মতো হাড়ের গঠন ও হার শক্তিশালী করণে ভূমিকা পালন।
• ছয় মাস বয়সের পর থেকে মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে কাঁঠালের রস খাওয়ালে শিশুর ক্ষুদা নিবারণ ও প্রয়োজনীয় ভিটামিনের অভাব পূরণ হয়।
• প্রতিদিন ২০০ গ্রাম পরিমাণ পাকা কাঁঠাল খেলে গর্ভবতী নারী ও গর্ভস্থ শিশুর সব ধরনের পুষ্টির অভাব দূর হয়।
সতর্কতা
যারা ডায়াবেটিসের রোগী এবং যাদের বদ হজমের সমস্যা রয়েছে, কাঁঠাল খাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের একটু সতর্ক থাকতে হবে।
ডাঃ আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্য পরামর্শ বিষয়ক বই আসুন সুস্থ থাকি
কাঁঠালের পুষ্টিগুণ || ডা. আবিদা সুলতানা
Nutritional value of jackfruit || Dr. Abida Sultana
আর্টিকেলটি
ভালো লাগলে শেয়ার করে অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিন।
No comments