Header Ads

যে কারণে জিরা খাওয়া জরুরি || That is why it is important to eat cumin || Dr. Abida Sultana

 

যে কারণে জিরা খাওয়া জরুরি || ডাঃ আবিদা সুলতানা


রান্নায় জিরার ব্যবহার বাঙালির দীর্ঘদিনের অভ্যাস। এটি খাবারে বাড়তি স্বাদ ও গন্ধযুক্ত করে। তবে শুধু খাবারের স্বাদ বাড়াতেই নয়, শরীরের নানা উপকারেও জিরার জুড়ি মেলা ভার। হজম ক্ষমতার উন্নতির পাশাপাশি নানাবিধ পেটের রোগ সারাতে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি যেমন বিশেষ ভূমিকা নেয়, তেমনি অ্যাজমার প্রকোপ কমাতে এবং ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য ভিত্তিতে ও কাজে আসে। জিরার আরও অনেক উপকারিতা আছে,

চলুন জেনে নেয়া যাক -

আপনি কি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় ভুগছেন? তাহলে আজ থেকেই জিরা সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতান, দেখবেন আরাম মিলবে। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার যা বেশ কিছু অ্যানজাইমের ক্ষমতা বাড়িয়ে দিয়ে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগ সারাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, পাইলসের কষ্ট কমাতেও জিরা দারুণভাবে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে এক চামচ জিরা ভেজে নিয়ে গুঁড়া করে নিন। তারপর এই পাউডার এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খাওয়া শুরু করুন। উপকার মিলবে। গর্ভবতী নারীর শরীর ঠিক রাখতে জিরা বেশ উপকারী। এই সময় হবু মায়েদের কনস্টিপেশন এবং হজমের সমস্যা হয়ে থাকে। জিরা এই দুই ধরনের সমস্যা কমাতে দারুণ উপকারে লাগে। 

সেইসঙ্গে মাথা ঘোরা এবং গর্ভাবস্থায় সম্পর্কিত আরও সব লক্ষণ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। এ কারণেই হবু মায়েদের প্রতিদিন এক গ্লাস গরম দুধে হাফ চামচ জিরা এবং এক চামচ মধু মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

রুক্ষ হয়ে যাওয়া চুলের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে ও জিরা নানাভাবে সাহায্য করে। সেজন্য এক্ষেত্রে এক গ্লাস পানিতে এক চামচ জিরা পাউডার এবং একটা ডিমের কুসুম মিশিয়ে নিন। তারপর সেই মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। যখন দেখবেন মিশ্রণটি শুকিয়ে গেছে, তখন ভালো করে চুল ধুয়ে নিন। সপ্তাহে একবার এভাবে চুলের পরিচর্যা করলে সৌন্দর্য ফিরে আসবে।

যাদের রাতের বেলা ভালো করে ঘুম আসে না, তারা প্রতিদিন ঘুমানোর আগে এক চামচ চটকানো কলার সঙ্গে হাফ চামচ জিরা পাউডার মিশিয়ে খাওয়া শুরু করুন। এই ঘরোয়া ওষুধটি খেলে ঘুমের আর কোনো সমস্যা হবে না। কারণ জিরা এবং কলা একসঙ্গে খেলে মস্তিষ্কে মেলাটোনিন নামের এক ধরনের কেমিক্যালের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এটি ঘুম আসার ক্ষেত্রে দারুণ ভাবে সাহায্য করে। জিরার উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং আন্টি ইনফেমেটিভ প্রপর্টিজ ঠান্ডা লাগা এবং জ্বরের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই প্রাকৃতিক উপাদানটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়। ফলে ভাইরাল ফিবার এবং ওই সংক্রান্ত নানাবিধ কষ্ট কমে যায়। এক চামচ জিরা এবং অল্প পরিমাণ আদা, এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে নিন প্রথমে। তারপর পানিটা ফুটিয়ে ছেঁকে নিন। দিনে দুই থেকে তিনবার পান করুন। তাহলেই কষ্ট কমে যাবে।

 


সংগ্রহ করুন ডাঃ আবিদা সুলতানার স্বাস্থ্য পরামর্শ বিষয়ক বই আসুন সুস্থ থাকি

যে কারণে জিরা খাওয়া জরুরি || ডাঃ আবিদা সুলতানা 
That is why it is important to eat cumin || Dr. Abida Sultana

আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করে অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিন। 

আরো পড়ুন   যক্ষ্মার ঝুঁকি কাদের বেশি

 


No comments

Powered by Blogger.